সুস্থ থাকুন ডেস্ক:
কামরাঙ্গা ফলের উৎপত্তি শ্রীলঙ্কায়। পরবর্তীতে ভারত, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, চীনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কামরাঙ্গা ফলের বিস্তৃতি ঘটে। কামরাঙ্গা ফল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে বিভিন্ন নামে পরিচিত । যেমন- স্টার ফ্রুট বা তারা ফল, ক্যারামবোলা প্রভৃতি এর বৈজ্ঞানিক নাম Carambola,। কামরাঙ্গা ফল বিশ্বব্যাপী টক-মিষ্টি ফল হিসেবে সুপরিচিত। কোন কোন গাছে একাধিকবার বা সারাবছরই এ ফল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন এ ও সি এর ভাল উৎস।
কামরাঙ্গা ফলের পুষ্টিমান
প্রতি ১০০ গ্রাম কামরাঙ্গায় পাওয়া যায় ৩১ কিলোক্যালরি শক্তি,
৬.৭৩ গ্রাম শর্করা,
৩.৯৮ গ্রাম চিনি,
২.৮ গ্রাম ফাইবার.
০.৩৩ গ্রাম স্নেহ পদার্থ,
১.০৪ গ্রাম প্রোটিন,
৩৯ মিলিগ্রাম প্যানটোথেনিক অ্যাসিড বি৫,
১২ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট বি৯,
৩৪.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি,
১২ মিলিগ্রাম ফসফরাস,
১৩৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ও ১২ মিলিগ্রাম দস্তা।
কামরাঙ্গা ফলের উপকারিতা
১। কামরাঙ্গা ফলেরএলজিক এসিড যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
২। কামরাঙ্গা গাছের পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
৩। পাকা কামরাঙ্গা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
৪। কামরাঙ্গা ফল ও পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়।
৫। কামরাঙ্গা ত্বক মসৃণ করে।
৬। কামরাঙ্গা পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়।
৭। কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠাণ্ডাজনিত (সর্দিকাশি) সমস্যা সহজেই ভালো হয়।
৮। কামরাঙ্গা গাছের মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৯। কামরাঙ্গা ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।
১০। পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১১। শুকানো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুবই উপকারী।
১২। ২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়।
১৩। কামরাঙ্গা শীতল ও টক। তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে।
১৪। কামরাঙ্গা ত্বকে ব্রণ হওয়ার পরিমাণ কমায় ।
১৫। কামরাঙ্গা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।
১৬। কামরাঙ্গা চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত তুলনামুলকভাবে ভঙ্গুরহীন ও উজ্জ্বল করে ।
কামরাঙ্গা ফল যাদের খাওয়া উচিত নয়
১। ডায়রিয়া হলে ও ডায়রিয়া ভাল হওয়ার পরপরই কামরাঙ্গা ফল খাওয়া উচিত নয় ।
২। কিডনিতে ইনফেকশন বা কিডনিতে পাথর আছে তাদের জন্য কামরাঙ্গা ফল বর্জনীয় ।
৩। যাদের হার্ট দুর্বল তাদের জন্য এই ফল বর্জনীয় ।
৪। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের এই ফলের জুস খাওয়া উচিত নয় ।
বিশেষ আকার আর স্বাদের জন্য অনেকের পছন্দের ফল কামরাঙ্গা। গ্রামের অনেক বাড়ির আনাচে কানাচে দেখা যায় কামরাঙ্গা গাছ। সবুজ ও হলুদের মিশ্রণে বাহারি ফলটির চাহিদা রয়েছে আমাদের দেশেও। ওষধীগুণ সমৃদ্ধ এ ফল একদিকে যেমন পূরণ করে আমাদের শরীরের পুষ্টি, তেমনি প্রতিরোধ করে বিভিন্ন রোগ। সাধারণত টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত দু’ধরনের কামরাঙ্গা পায় আমরা। এতে ভিটামিন এ অল্প পরিমাণে থাকলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে।
কামরাঙ্গায় ভিটামিন সির পরিমাণ আম, আনারস ও আঙ্গুরের চেয়ে বেশি। এতে আয়রনের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, লিচু, কমলালেবু ও ডাবের পানির থেকেও বেশি।
জেনে নেয়া যাক এ ফলের কিছু অজানা উপকারিতা। এতে থাকে এলজিক এসিড, যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কামরাঙ্গার পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ফল ও পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়। কামরাঙ্গা ত্বক মসৃণ করে। এর পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়। কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠান্ডাজনিত (সর্দিকাশি) সমস্যা সহজেই ভালো হয়ে যায়। এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কামরাঙ্গা ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
শুকনো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুবই উপকারী। ২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়। আবার কামরাঙ্গা দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করা যায়। কামরাঙ্গা শীতল ও টক। তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে।
তবে অধিক পরিমাণে কামরাঙা বা তার জুস খেলে ক্ষতির আশংকাও রয়েছে ৷ তাই এর খারাপ দিক এড়িয়ে চলতে খালি পেটে কখনো কামরাঙ্গা খাবেননা। যাদের কিডনির চিকিৎসা চলছে তারা কামরাঙ্গা খান সতর্কতার সাথে। তবে অপকারিতার চেয়ে উপকারী দিক বেশি হওয়ায় বিশেষ স্বাদের এ ফল খাওয়া উচিৎ সকলের। কেননা মৌসুমী এ ফলগুলোর নিজস্ব বিশেষ গুণ গুলো সকলের শরীরের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপকারী।
কামরাঙ্গায় ভিটামিন সির পরিমাণ আম, আনারস ও আঙ্গুরের চেয়ে বেশি। এতে আয়রনের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, লিচু, কমলালেবু ও ডাবের পানির থেকেও বেশি।
জেনে নেয়া যাক এ ফলের কিছু অজানা উপকারিতা। এতে থাকে এলজিক এসিড, যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কামরাঙ্গার পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ফল ও পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়। কামরাঙ্গা ত্বক মসৃণ করে। এর পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়। কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠান্ডাজনিত (সর্দিকাশি) সমস্যা সহজেই ভালো হয়ে যায়। এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কামরাঙ্গা ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
শুকনো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুবই উপকারী। ২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়। আবার কামরাঙ্গা দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করা যায়। কামরাঙ্গা শীতল ও টক। তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে।
তবে অধিক পরিমাণে কামরাঙা বা তার জুস খেলে ক্ষতির আশংকাও রয়েছে ৷ তাই এর খারাপ দিক এড়িয়ে চলতে খালি পেটে কখনো কামরাঙ্গা খাবেননা। যাদের কিডনির চিকিৎসা চলছে তারা কামরাঙ্গা খান সতর্কতার সাথে। তবে অপকারিতার চেয়ে উপকারী দিক বেশি হওয়ায় বিশেষ স্বাদের এ ফল খাওয়া উচিৎ সকলের। কেননা মৌসুমী এ ফলগুলোর নিজস্ব বিশেষ গুণ গুলো সকলের শরীরের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপকারী।
মৃত্যুর কারণ হতে পারে কামরাঙ্গা !
আমাদের দেশে টক জাতীয় কিছু ফলের মধ্যে কামরাঙ্গা অন্যতম। এই ফলে আছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, সুগার (কম পরিমাণে) সোডিয়াম, এসিড ইত্যাদি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Carambola, এবং এই ফলটি বিশেষ করে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা অঞ্চলের একধরণের স্থানীয় প্রজাতির উদ্ভিদের ফল ও এই ফল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-প্রশান্ত এবং পূর্ব-এশিয়া অংশে খুব জনপ্রিয়।
কিন্তু কামরাঙ্গাতে আছে এমন একটি উপাদান যা মানবদেহের মস্তিষ্কের জন্য বিষ। সাধারণ মানুষেরা কামরাঙ্গা খেলে, কিডনি তা শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু কিডনি রোগীর দুর্বল কিডনি শরীর থেকে এই বিষ বের করে দিতে সক্ষম নয়। এর ফলে তা রক্ত থেকে আস্তে আস্তে দেহের মস্তিষ্কে প্রবেশ করে এবং বিষক্রিয়াও ঘটাতে পারে।
এই সমস্যার লক্ষণগুলো হল-
১। ক্রমাগত হেঁচকি দেয়া
২। দেহ দুর্বল হয়ে যাওয়া
৩। মাথা ঘোরানো
৪। বমি বমি ভাব
৫। মাথা কাজ না করা
৬। দেহে মৃগী রোগীর মত কাঁপুনি উঠা
৭। কোমায় চলে যাওয়া ও শেষ পর্যন্ত মৃত্যু
কামরাঙ্গা খাওয়ার পর কিডনী রোগীর মধ্যে এই ধরণের লক্ষন গুলো দেখা দিলে দ্রুত তার hemodialysis এর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বহুবছর আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা জানতেন যে, কামরাঙ্গাতে এমন একটি উপাদান আছে যা কিডনি রোগীর জন্য খুব ক্ষতিকর। কিন্তু কোন বিজ্ঞানীই এই ক্ষতিকর উপাদানটি বের করতে পারেননি। সম্প্রতি University of Sao Paulo (Brazil) এর একদল বিজ্ঞানী এই ক্ষতিকর উপাদানটি বের করতে সক্ষম হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা কামরাঙ্গার এই ক্ষতিকর উপদানটির না দিয়েছেন caramboxin, ও কামরাঙ্গার বৈজ্ঞানিক নাম Carambola হতেই এই ক্ষতিকর উপাদানটির নামকরণ করা হয়েছে।
শুধু যে অপকারিতা আছে টা নয় । এবার জেনে নিন এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কেঃ
প্রতি একশ গ্রাম কামরাঙ্গায় শক্তি মেলে ৩১ কিলোক্যালরি। শর্করা ৬.৭৩ গ্রাম, চিনি ৩.৯৮ গ্রাম, খাদ্য ফাইবার ২.৮ গ্রাম, স্নেহ ০.৩৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.০৪ গ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.৩৯ মিলিগ্রাম, ফোলেট (বি৯) ১২ μg, ভিটামিন সি ৩৪.৪ মিলিগ্রাম ছাড়াও কামরাঙ্গায় পাওয়া যাবে ভিটামিন এ, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও দস্তা।
ওষুধি গুণ
কামরাঙ্গার ঔষধিগুণও বিস্ময়কর। সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকায় কামরাঙ্গা রাখতে পারেন প্রতিদিন। তার আগে জেনে নিন কামরাঙ্গার ঔষধিগুণ
অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
কামরাঙ্গা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খুব উপকারী। কামরাঙ্গায় আছে এলজিক এসিড। এটি অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
রক্ত পরিষ্কারক
কামরাঙ্গা রক্ত পরিশোধন করে। কামরাঙ্গার পাতা ও কচি ফলে আছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
সর্দিকাশিতে উপকারী
কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। দীর্ঘদিনের জমাট সর্দি বের করে দিয়ে কাশি উপশম করে। শুকনো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুব উপকারী।
কৃমিনাশক
কামরাঙ্গা পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়। কৃমির সমস্যা সমাধানে কামরাঙ্গা ফলও উপকারী। কামরাঙ্গার রসের সঙ্গে নিমপাতা মিশিয়ে খেলে কৃমি দূর হয়।
অর্শ রোগে উপকারী
দুই গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়। আর বাতের ব্যথায়ও কামরাঙ্গা বেশ উপকারী।